,

বানিয়াচংয়ে স্বামীকে কুপিয়ে ক্ষত-বিক্ষত ॥ স্ত্রী আটক

নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ বানিয়াচংয়ে পরকিয়া প্রেমে বাঁধা দেয়ায় স্বামী আনন্দ দাস (৩৫) কে কুপিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করার অভিযোগে ঘাতক স্ত্রী শম্পা দাস (২৫) কে অবশেষে আটক করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। গত বুধবার গভীর রাতে বানিয়াচঙ্গ থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে উপজেলার মেউতুল গ্রাম থেকে আটক করে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সে কারাগারে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে কারা নিরাপত্তায় হবিগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবারে তার স্বামীকে ক্ষত-বিক্ষত করলে পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। সে বানিয়াচঙ্গ উপজেলার জুড়ানগর গ্রামের ঠাকুর ধন দাসের পুত্র। আহত সুত্রে জানা যায়, ৫ বছর আগে উপজেলার মেউতুল গ্রামের বিধু মাষ্টারের কন্যা শম্পা দাস (২৫) এর সাথে বিয়ে হয় আনন্দ দাসের। বিয়ের পর তাদের ২টি সন্তান জন্ম গ্রহন করে। আনন্দ দাসের অভিযোগ সাম্প্রতিক সময়ে তার স্ত্রী শম্পা এক যুবকের সাথে পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি তিনি আঁচ করতে পারেন। ওই দিন সন্ধ্যায় বাড়ির গোয়াল ঘরে ওই যুবকের সাথে তার স্ত্রী অসামাজিক কাজে লিপ্ত হলে আনন্দ দাস তার ব্যবহৃত গামছা দিয়ে কিরন দাসকে বেধে ফেলেন। এ সময় তার স্ত্রী শম্পা দাড়ালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে স্বামীকে আহত করে প্রেমিককে স্বামীর কবল থেকে মুক্ত করে। আনন্দ দাসের চিৎকারে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ঘটনার পর থেকে শম্পা ও তার প্রেমিক কিরন আত্মগোপন করলে পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে শম্পাকে আটক। এ ব্যাপারে আহত আনন্দ দাসের ভাই বানিয়াচঙ্গ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।


     এই বিভাগের আরো খবর